অপূর্ব-প্রভার বন্ধন ছিন্ন আলাদা বসবাস শুরু -রাজিব দেশের বাইরে -নেপথ্যে চয়নিকা চৌধুরী

 অপূর্ব-প্রভার বন্ধন ছিন্ন আলাদা বসবাস শুরু -রাজিব দেশের বাইরে -নেপথ্যে চয়নিকা চৌধুরী

অবশেষে যা হওয়ার তাই হলো। অপূর্ব-প্রভার সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে। তারা আর একসঙ্গে থাকছেন না। গত বুধবার রাত থেকে আলাদা বসবাস শুরু করেছেন। 'যত ঝড়-ঝাপটাই আসুক না কেন, আমাদের কোনোদিনও আলাদা করতে পারবে না। আমৃত্যু আমরা একসঙ্গে থাকব'_ বহুবার বলা অপূর্ব-প্রভা'র এ সংলাপ এখন শুধুই কথার কথা। এ দুই তারকার ঘনিষ্ঠ একজন জানিয়েছেন, প্রভার বাবা এসে প্রভাকে নিয়ে গেছেন। প্রভা এখন বাবা-মায়ের সঙ্গে শ্যামলীর বাসায় থাকছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের সম্মতিতে অপূর্ব-প্রভা আলাদা হয়েছেন। কারণ দুইজনের মধ্যে বনিবনার অভাব ছিল এবং প্রতিদিনই ঝগড়া হতো। অপূর্ব কারণে-অকারণে বাসার বাইরে থাকতো। অন্যদিকে প্রভার বাসার বাইরে যাওয়া বারণ ছিল। বিয়ের পর কিছুদিন অপূর্ব-প্রভার সম্পর্ক ভালোই ছিল। কিন্তু যখন থেকে একের পর এক প্রভার নগ্ন ভিডিও প্রকাশ হতে শুরু করল তখন থেকেই বিগড়ে যেতে শুরু করেন অপূর্ব। মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অপূর্বর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, 'অপূর্ব বেশ ভেঙে পড়েছে। সে প্রভাকে অনেক বিশ্বাস করেছিল। প্রভা তাকে বলেছিল, রাজিবের সঙ্গে প্রেম ছিল ঠিকই, কিন্তু অন্তরঙ্গ কোনো সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু ভিডিও ক্লিপ দেখে অপূর্ব অবাক হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রভাবে বিয়ে করাকে সে জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল বলে মনে করছে।' তিনি আরো জানিয়েছেন, 'ভিডিও প্রকাশ হলেও এ নিয়ে কোনো লজ্জাবোধ ছিল না প্রভার। উল্টো অপূর্বকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করত। অপূর্ব তাকে বাসার বাইরে যেতে মানা করেছে। কিন্তু প্রভা এ নিষেধ মানেনি। এখান থেকেই মূলত সম্পর্কের অবনতি শুরু। প্রথমে তারা আলাদা বিছানায় ঘুমাত। আর এখন আলাদা বাসায়।'

প্রভার একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, প্রভার সঙ্গে প্রতিদিনই খারাপ আচরণ করত অপূর্ব। তার চলাফেরায়ও তিনি বাধা দিতেন। তাই দম বন্ধ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল প্রভার। এ কারণে প্রভা তার বাবাকে ফোন করে আসতে বলেন। বাবা এসে তাকে নিয়ে যান। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, প্রভা হয়তো এখন আর দেশে থাকবে না। লন্ডনে চলে যাবেন বড় ফুফুর কাছে। ওখানেই বাকি জীবন কাটিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
Apurba Faruq and Sadiya Jahan Prova Marriage
উভয়পক্ষের সূত্রে অপূর্ব-প্রভার আলাদা হয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করলেও ডিভোর্সের ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেনি। কবে নাগাদ ডিভোর্স হতে পারে এ প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে, কিছুদিনের মধ্যেই দুই পরিবার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। প্রভার বাবার জন্যই আটকে আছে সিদ্ধান্তটি। কারণ তিনি মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় অপূর্বকে বলেছেন, 'আমি প্রভাকে নিয়ে গেলাম। যদি তুমি মনে কর আমার মেয়েকে নিয়ে সংসার করতে পারবা তাহলে জানাবা। না পারলে আর কী করার আছে!' সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে অপূর্বর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি। প্রভা কি তার বাবার বাসায় চলে গেছে_ এমন প্রশ্নের উত্তরে অপূর্ব শুধু 'হ্যাঁ' বলেছেন।

অপূর্ব-প্রভার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার ঘটনায় অনেকেই জানতে চাচ্ছেন রাজিবের কথা। রাজিব এখন কোথায়? সে কি প্রভাকে আবার জীবনসঙ্গী করবে, নাকি মুখ ফিরিয়ে নিবে? সাধারণ মানুষ এবং মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে এমন প্রশ্নগুলো ঘুরপাক খাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজিবের এখন মন ভালো নেই, গত মঙ্গলবার তিনি ভারতের ব্যাঙ্গালোরে ঘুরতে গেছেন। আরো জানা গেছে, প্রভা রাজিবের কাছে আবদার করেছিল, বিয়ের পর সুইজারল্যান্ডে হানিমুনে যাওয়ার। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকাও জমিয়েছিল রাজিব। সেই টাকা দিয়েই এখন ঘুরতে বের হয়েছেন। শুধু তাই নয়, হয়তো তিনি একেবারে দেশের বাইরে চলে যাবেন। প্রথমে আমেরিকার টেক্সাসে পড়াশোনা করতে যাবেন। তারপর সেখানেই থেকে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। প্রভা যদি আবার ফিরে আসে, তাহলে কি রাজিব তাকে নিজের জীবনে জড়িয়ে নেবেন_ এ প্রশ্নের উত্তরে রাজিবের এক বন্ধু জানান, সম্ভবত না। কারণ প্রভা রাজিবের সঙ্গে অনেক প্রতারণা করেছেন। প্রভা যে গাড়িতে চড়ছে, সেটা রাজিবের কিনে দেওয়া। দাম আঠারো লাখ টাকা। প্রভা যে শাড়ি পরে অপূর্বকে বিয়ে করেছে সেটাও রাজিবের বোন দিয়েছে। যে মেয়ে আট বছরের প্রেমের ওপর দাঁড়িয়ে আরেকজনের গলায় মালা পরাতে পারে তাকে কখনোই মেনে নেবেন না রাজিব। তাছাড়া যে রাতে প্রভা অপূর্বর হাত ধরে পালিয়েছে, সে রাতেও রাজিবের সঙ্গে ফোনে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেছেন। আবার বিয়ের পরপরই প্রভা রাজিবকে ফোন করেছিলেন। দোয়া করতে বলেছেন। রাজিব ওই সময় যে ধাক্কাটি খেয়েছে, তা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে। হঠাৎ করে যে মেয়ে রূপ বদলাতে পারে তাকে কিভাবে জীবনসঙ্গী করবেন রাজিব!

রাজিবকে কেন ছাড়ল প্রভা? এ প্রশ্নটিও সবার মুখে মুখে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ জন্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীই দায়ী। এ পর্যন্ত অনেক তারকার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করার এবং ভাঙার পিছনেও তার হাত রয়েছে। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, প্রভার মাধ্যমেই রাজিবের সঙ্গে পরিচয় হয় চয়নিকার। পরিচয়ের কিছুদিন পর রাজিবকে তিনি তার নাটক প্রযোজনা করতে বলেন। কিন্তু রাজিব রাজি হননি। এক পর্যায়ে রাজিবকে নায়ক বানানোর কথা বলেন। উদ্দেশ্য ছিল রাজিবের কাছ থেকে টাকা নেওয়া। কিন্তু চয়নিকার কোনো প্রস্তাবেই রাজি হননি রাজিব। পরে রাজিবের সঙ্গে চয়নিকার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। প্রভার কাছে প্রায়ই রাজিবের নামে নানা মিথ্যা কথা বলত। রাজিবও প্রভাকে চয়নিকার নাটকে অভিনয় করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু প্রভা শোনেনি। অন্যদিকে চয়নিকা অপূর্ব-প্রভাকে নিয়ে একের পর এক নাটক নির্মাণ করেন। অপূর্ব প্রভার প্রতি দুর্বল এ কথা জানত চয়নিকা। তাই শুটিংয়ের সময় মেকআপ রুম অপূর্ব-প্রভার জন্য ফাঁকা করে দিত। পাশাপাশি রাজিবের নামে অসত্য কথা বলত। অপূর্বর প্রশংসা করত। এভাবেই সে রাজিবের কাছ থেকে প্রভাকে ছিনিয়ে এনে অপূর্বর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে দেন। চয়নিকার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন তারকাশিল্পী এ ঘটনার সত্যতার পক্ষে মন্তব্য করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিনেত্রী বলেন, 'আমার কাছে মনে হয় বৌদির [চয়নিকা চৌধুরী] মানসিক সমস্যা আছে। তিনি পরচর্চা করতে খুব পছন্দ করেন। এ পর্যন্ত যত মানুষ তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন প্রায় সবাই আর্থিকভাবে এবং ব্যক্তিগত জীবনে বিপদে পড়েছেন।' তবে চয়নিকা চৌধুরী তার সম্পর্কে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
Source : http://bangladesh-pratidin.com/

 rajib-prova sex scandal,bd model prova,prova suicide,prova and apurbo divorce, Sadiya Jahan Prova, suicide, Rajiv Hassan,model,bangladesh,committed suicide,model prova,commit suicide,entertainment-news,Social psychology,Dhāka,Middleware,Communication,Rumor,prova,Social Issues



0 comments:

Post a Comment

movies-all-free.com
iMusicNow.com

Followers